কম টাকায় লাভজনক ব্যবসা কি-কম টাকায় কি ব্যবসা করা যায়
আপনার যদি ব্যবসা করার ইচ্ছা থাকে তাহলে কম টাকায় লাভজনক ব্যবসা কি বা কম টাকায় কি ব্যবসা করা যায় প্রাথমিক ভাবে সে সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। যে কোন ব্যবসা শুরুর পুর্বে আপনাকে ব্যবসা সম্পর্কে পরিকল্পনা করতে হবে।
সূচিপত্রঃ- কম টাকায় লাভজনক ব্যবসা কি-কম টাকায় কি ব্যবসা করা যায়
- অনলাইন ভিত্তিক ব্যবসার ধারণা
- খাবার ভিত্তিক ব্যবসার ধারনা
- খামার ভিত্তিক ব্যবসার ধারণা
- পুরাতন আসবাবপত্র ব্যবসার ধারণা
- অনান্য লাভজনক ব্যবসার ধারণা
অনলাইন ভিত্তিক ব্যবসার ধারণা
আধুনিক এই যুগে অনলাইনে ব্যবসা করা একটি গুরুত্বপূর্ণ প্লাটর্ফম। অনলাইনে ব্যবসা
করার সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এটি ঘরে বসেই করা সম্ভব। এ সকল ব্যবসার ইনভেস্ট
কম এবং লাভ তুলনামূলক বেশি।
১. ডিজিটাল মার্কেটিং
দুনিয়াতে যত ব্যবসা আছে তার মধ্যে ডিজিটাল মার্কেটিং অনেকটা সহজ এবং লাভজনক একটি ব্যবসা। বর্তমানে বিজনেসের অনেকখানি এই ডিজিটাল মার্কেটিং এর ওপর নির্ভরশীল। প্রথাগত মার্কেটিং এর পরিবর্তে বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। আপনি আপনার যে কোন পণ্য এবং সার্ভিস ডিজিটাল দুনিয়ায় মার্কেটিং করে ইনকাম করতে পারেন। যা একটি কম টাকায় লাভজনক ব্যবসা।২. কনটেন্ট ক্রিয়েশন এজেন্সি
কম টাকায় লাভজনক ব্যবসা ব্যবসাগুলোর মধ্যে আপনি কনটেন্ট ক্রিয়েশন এজেন্সি দাঁড় করাতে পারেন। আজকাল বড় বড় কোম্পানিগুলোতে আকর্ষণীয় এবং ইউনিক কন্টেন্টের ব্যবহার বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আপনি যদি একজন দক্ষ কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হয়ে থাকেন বা আপনার অধীনে কিছু দক্ষ কনটেন্ট ক্রিয়েটর থেকে থাকে তাহলে আপনি বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট তৈরি করে বায়ারদের কাছে সেল করে ইনকাম করতে পারেন। এছাড়াও আপনি আপনার কনটেন্ট গুলো ডিজিটালি মার্কেটিং এর মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ দর্শকদের কাছে পৌঁছে দিতে পারেন। যার ফলে আপনার ব্যবসার সম্ভাবনা আরও বৃদ্ধি পাবে।৩. গ্রাফিক্স ডিজাইন
নিজে নিজে স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য কম টাকায় লাভজনক ব্যবসাগুলোর মধ্যে গ্রাফিক্স ডিজাইন অন্যতম। যেকোন ভালো প্রতিষ্ঠান থেকে আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার মাধ্যমে নিজেকে একজন দক্ষ গ্রাফিক ডিজাইনার হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন। বর্তমানে এই গ্রাফিক্স ডিজাইনের ডিমান্ড অনেক বেশি। এমন কোন প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানী নেই যেখানে গ্রাফিক্স ডিজাইনারের প্রয়োজন নেই।
একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে আপনি আপনার একটি প্রতিষ্ঠান দাঁড় করাতে পারেন।
পাশাপাশি ভার্চুয়ালি দেশে এবং বিদেশের বিভিন্ন কোম্পানির সাথে আপনি আপনার বিজনেস
চালিয়ে যেতে পারে। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কোম্পানি বা অন্যান্য ব্যবসার জন্য
সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড, পোস্টার, ব্যানার, প্লেকার্ড এমনকি লোগো প্রয়োজন হয়ে
থাকে। আপনি সকল প্রয়োজনীয় ডিজাইন তৈরি করে আপনার কাস্টমারদের কাছে বিক্রি করতে
পারেন।
৪. ওয়েব ডিজাইন
বড় বড় আইটি কোম্পানির জন্য স্মার্ট এবং দক্ষ ওয়েব ডিজাইনার অপরিহার্য। ওয়েব ডিজাইন অন্যান্য কম টাকায় লাভজনক ব্যবসাগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ এবং চাহিদা সম্পন্ন ব্যবসা। দিন দিন ওয়েব ডিজাইনারদের চাহিদা বাড়ছে। প্রতিদিনই নতুন নতুন ব্যবসা এবং উদ্যোক্তার সংখ্যা বাড়ছে। তাদের অনেকেরই ব্যবসার প্রমোশনের জন্য ওয়েবসাইট প্রয়োজন হয়। এবং ওয়েবসাইট তৈরি করতে হলে অবশ্যই একজন দক্ষ এবং স্মার্ট ওয়েব ডিজাইনার প্রয়োজন। এ সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক বা উদ্যোক্তারা আপনার কাঙ্ক্ষিত কাস্টমার হতে পারে।৫. ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
অনলাইন ভিত্তিক ব্যবসা গুলোর মধ্যে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসা হতে পারে যা কম টাকায় লাভজনক ব্যবসা গুলোর মধ্যে খুব জনপ্রিয়। বর্তমানে যেকোনো প্রতিষ্ঠান এর ক্ষেত্রেই ওয়েব ডেভলপারের প্রয়োজন হয়। কারণ তারা তাদের ব্যবসার প্রচারের জন্য ওয়েবসাইট দরকার। আর এই ওয়েবসাইট বানানোর জন্য একজন ওয়েব ডেভেলপারের প্রয়োজন হয়। আপনি যদি একজন দক্ষ ওয়েব ডেভেলপার হয়ে থাকেন তাহলে আপনার এই স্কিল আপনার ব্যবসার চাবিকাঠি হতে পারে। আপনার এই স্কিলকে কাজে লাগিয়ে আপনি একটি প্রতিষ্ঠান, একটি এজেন্সির সাথে যুক্ত হয়ে কাজ করতে পারেন।৬. অনলাইন ব্লগ
অনলাইনে যতগুলো ব্যবসা রয়েছে বিশেষ করে কম টাকায় লাভজনক ব্যবসা তাদের মধ্যে অনলাইন ব্লগ সবচেয়ে সহজ এবং লাভজনক একটি ব্যবসা। আপনি আপনার দক্ষতা অনুযায়ী এবং পছন্দ অনুযায়ী একটি ব্লক প্রকাশের মাধ্যমে বিভিন্ন পন্থায় ইনকাম করতে পারেন। আপনার ব্লগ টি কোন রাইটিং ব্লগ, রেসিপি ব্লগ, মুভি রিভিউ ব্লগ, মুভি ডাউনলোড ব্লগ, ফাস্টফুড বেস্ট ব্লগ, রূপচর্চা বিষয়ক ব্লগ, শিক্ষা বিষয়ক ব্লগ এছাড়াও বিভিন্ন বিষয় ভিত্তিক ব্লগ হতে পারে। এ সকল ব্লগে আপনি এডসেন্স এর মাধ্যমে বা অন্যান্য অ্যাড সার্ভিস এর মাধ্যমে কিংবা লোকাল অ্যাড প্রকাশের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন।৭. ইউটিউব এ ভিডিও প্রকাশ
ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করে ইনকাম করা অনলাইন ভিত্তিক ব্যবসা গুলোর মধ্যে আরও একটি লাভজনক ব্যবসা। এই ব্যবসাতে তেমন কোন ইনভেস্টমেন্ট প্রয়োজন নেই। যদিও ইউটিউব কয়েক বছর আগে সহজ ছিল এবং বর্তমানে কিছুটা কঠিন হয়েছে। তবে এখানে ধৈর্যের ব্যাপার রয়েছে। আপনি ইউটিউবে ভিডিও প্রকাশ করার সাথে সাথেই যে ইনকাম পেয়ে যাবেন বিষয়টি এমন নয়।
ইউটিউব ভিডিওর ক্ষেত্রে আপনার ভিডিওগুলো ইনফরমেটিভ এবং কপিরাইট মুক্ত হতে হবে।
এছাড়াও ইউটিউবের মনিটাইজেশনের জন্য কিছু শর্ত রয়েছে সেগুলো পূরণ করতে হবে। সকল
ফর্মালিটি পূরণের পরে একটি দীর্ঘমেয়াদি ইনকামের রাস্তা তৈরি হবে আপনার। এইভাবে
একটি ইউটিউব চ্যানেল দাঁড় করানোর মাধ্যমে আপনার ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
৮. অনলাইনে কোর্স বিক্রি
অনলাইন বিজনেস আইডিয়াগুলোর মধ্যে অনলাইনে যেকোনো ধরনের কোর্স বিক্রি করা একটি লাভজনক আইডিয়া। আপনি যে বিষয়ের ওপর দক্ষ এবং স্মার্ট সেই বিষয়ের একটি কোর্স বানাতে পারেন। এবং সে কোর্সগুলো আপনি অনলাইনে কি করে ইনকাম করতে পারেন। কোর্স বিক্রির জন্য আরো অনেক অনলাইন প্লাটফর্ম আছে সেগুলোর মাধ্যমে আপনার কোর্সগুলো সেল করতে পারেন।৯. মোবাইল অ্যাপ তৈরি করা
বর্তমানে মোবাইল অ্যাপের চাহিদা দিন দিন ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ এর তুলনায় মানুষ বর্তমানে মোবাইল ব্যবহারের প্রতি বেশি আগ্রহী হয়ে উঠেছে। তাই প্রয়োজন অনুসারে বিভিন্ন কাজের জন্য মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার বাড়ছে। বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজনীয় মোবাইল অ্যাপ তৈরি করে আপনি আপনার ব্যবসা শুরু করতে পারেন।১০. আর্টিকেল রাইটিং
আর্টিকেল রাইটিং এমন একটি বিজনেস যা খুব সহজ এবং তুলনামূলক লাভজনক। এই ব্যবসার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোনো টাইম ফ্রেম প্রয়োজন হয় না। আপনি আপনার সুবিধামতো টাইমে এই কাজটি করতে পারেন। আর্টিকেল রাইটিং এর ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই দক্ষ হতে হবে এবং পাশাপাশি এসিও জ্ঞান থাকতে হবে। এই কাজটি বাসা, অফিস এমনকি যে কোন জায়গা থেকেই করা সম্ভব।১১. ই-কমার্স বিজনেস
ই-কমার্স বিজনেস একটি স্বাধীন বিজনেস। তবে এই ব্যবসা শুরু করতে হলে আপনাকে কঠোর পরিশ্রমই হতে হবে। এবং অনেকগুলো পদক্ষেপ এবং সিদ্ধান্তের প্রয়োজন রয়েছে। অন্যান্য বিজনেসের চাইতে ই-কমার্স বিজনেস শুরু করাটা একটু কঠিন। যদিও কম টাকায় লাভজনক ব্যবসা গুলোর মধ্যে ই-কমার্স বিজনেস অত্যধিক লাভজনক ব্যবসা। তবে এই ব্যবসা শুরু করতে হলে আপনাকে অনেক বিষয়ে জানতে হবে।
ই কমার্স বিজনেস এর জন্য আপনাকে বিভিন্ন পণ্যের দাম, মার্কেট এনালাইসিস,
আপনার কমপ্লিটেডদের বিভিন্ন পণ্যের রেট, বর্তমান বাজার রেট বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান
থাকতে হবে। এই ব্যবসা অন্যান্য ব্যবসার চাইতে শুরু করা কঠিন এবং চ্যালেঞ্জিং তবে
ব্যাপক লাভজনক।
১২. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ম্যানেজার
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ম্যানেজার ব্যবসাটি অন্যান্য ব্যবসার আইডিয়া গুলোর থেকে ইউনিক বিজনেস আইডিয়া। খুব অল্প টাকায় বা টাকা ছাড়াই আপনি এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন। বর্তমানে আমাদের দেশের প্রায় ৬০ শতাংশ কোম্পানি এখনো সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে না। তাই আপনার এই ব্যবসার জন্য একটি বিশাল মার্কেট উন্মুক্ত রয়েছে। বিভিন্ন কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করে বিভিন্ন প্যাকেজ সাজিয়ে আপনি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনার পণ্য বা সেবাগুলো প্রচার করতে পারেন।১৩. অনলাইনে ইংরেজি শেখানো
বর্তমানে প্রতিটি ক্ষেত্রে ইংরেজি ডিমান্ড অনেক বেশি। বলতে গেলে ইংরেজি ছাড়া কোন চাকরি কোন বিজনেস সম্ভব নয়। আপনি যদি ইংরেজিতে দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে আপনার এই দক্ষতাকে ব্যবসায় রূপান্তর করতে পারেন। আপনার ব্যবসার জন্য আপনি একটি স্পোকেন প্রতিষ্ঠান দাঁড় করাতে পারেন অথবা অনলাইনে আপনার স্পোকেন শেখানোর কোর্সগুলো সেল করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনি ইউটিউব চ্যানেল খুলতে পারেন কিম্বা অনলাইন ভিত্তিক কোড শেখানোর ওয়েবসাইট গুলোতে আপনার কোর্স বিক্রি করতে পারেন।খাবার ভিত্তিক ব্যবসার ধারনা
দৈহিক ও শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে হলে খাবার প্রয়োজন। এ খাবারের মাধ্যমে আমরা আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ ও বিভিন্ন উপাদান পেয়ে থাকে। খাবার ভিত্তিক ব্যবসা হল লাভজনক ব্যবসা গুলোর মধ্যে সহজ এবং দীর্ঘমেয়াদী ব্যবসা। সময়ের সাথে সাথে এই খাবার ভিত্তিক ব্যবসার প্রসার ও ঘটছে। তবে এই ব্যবসার মূল চ্যালেঞ্জ হল ভালো জায়গা এবং মানসম্মত খাবার।১. বেকারির ব্যবসা
খাবার ভিত্তিক ব্যবসা গুলোর মধ্যে বেকারি ব্যবসা অন্যতম সেরা এবং লাভজনক একটি ব্যবসা। খাবার ভিত্তিক ব্যবসা প্রাচীনকাল থেকেই চলমান। প্রতিদিনের সকালের বা বিকেলের নাস্তায় বেকারির পণ্য থাকতেই হয়। তবে এই ব্যবসার সফলতা নির্ভর করে সঠিক পরিকল্পনা এবং বাজারজাতকরণের উপর। এই ব্যবসার ক্ষেত্রে প্রাথমিক পর্যায়ে একটু খরচ রয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে কিছু মেশিনারি প্রয়োজন হবে, একটি কারখানা বা একটি ঘরের প্রয়োজন রয়েছে।২. ক্যাটারিং ব্যবসা
আপনি যদি খাবার রান্নার ক্ষেত্রে পারদর্শী হয়ে থাকেন এবং রান্নাবান্না পছন্দ করে থাকেন তাহলে এই ব্যবসাটি বা খাদ্য সরবরাহ ব্যবসা আপনার জন্য। প্রথমের দিকে আপনি ছোট ছোট অর্ডার গ্রহণ করতে পারেন এবং পরবর্তীতে প্রয়োজন অনুযায়ী আপনার ব্যবসার পরিধি বাড়াতে পারেন।৩. ফুড কার্ট ব্যবসা
এই ব্যবসা গুলোর মধ্যে আলাদা যেখানে কম জনবল এবং অল্প টাকায় শুরু করা যায়। দেশের প্রতিটি শহরেই দিন দিন এই ব্যবসার জনপ্রিয়তা বাড়ছে। বর্তমানে বার্গার, হট কফি, কোল্ড কফি, নুডলস, ফ্রাইড চিকেন, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই ফুড এ সকল খাবারের চাহিদা সবার উপরে। তবে, উপযুক্ত স্থান ও মানসম্মত খাবার এই ব্যবসাকে সফল করতে সাহায্য করবে।৪. খাবার ডেলিভারি ব্যবসা
বিভিন্ন অফিস, আদালত এবং প্রতিষ্ঠানগুলোতে খাবার ডেলিভারি ব্যবসা একটি লাভজনক এবং ফলপ্রসু ব্যবসা। খুব সামান্য পুঁজিতে আপনি এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন। প্রাথমিক পর্যায়ে ব্যবসার প্রচারণার ক্ষেত্রে আপনি খাবারের মেনু বানিয়ে যে সকল জায়গায় আপনি ব্যবসা করতে চান সে সকল জায়গায় প্রচার করতে পারেন। তাদের স্বাস্থ্যসম্মত খাবার প্রতিদিন কম দামে ডেলিভারি দিয়ে এই ব্যবসা পরিচালনা করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনার খাবারের মান অবশ্যই ভালো হতে হবে।৫. কাঁচা বাজার হোম ডেলিভারি ব্যবসা
বর্তমানে পেশাজীবী হওয়ার কারণে সকলেই ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। কম টাকায় লাভজনক ব্যবসা গুলোর মধ্যে কাঁচাবাজার হোম ডেলিভারি ব্যবসা একটি স্মার্ট এবং ইউনিক বিজনেস আইডিয়া হতে পারে। অল্প টাকাতেই এই ব্যবসা শুরু করা যায়। প্রথমে আপনাকে একটি এলাকা বেছে নিতে হবে যে এলাকায় আপনি ব্যবসা করতে চান। এলাকাভিত্তিক সেই বাসা বাড়ি থেকে ফোনে অথবা সরাসরি অর্ডার গ্রহণ করে গ্রাহকের প্রয়োজন অনুযায়ী কাঁচা বাজার গুলো ডেলিভারি করতে পারেন।
গ্রাহক সংখ্যা বাড়ানোর জন্য আপনি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে
পারেন। এমনকি মোবাইল অ্যাপ বানিয়ে তার মাধ্যমে অর্ডার গ্রহণ করতে পারেন। এই
মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে গ্রাহক তার প্রয়োজন অনুযায়ী পণ্য অর্ডার করবে এবং
আপনি সেই অর্ডার অনুযায়ী পণ্য গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দিবেন।
৬. ফাস্ট ফুডের ব্যবসা
ফাস্টফুড এর চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। অল্প দামে মুখরোচক খাবারের অপর নাম ফাস্ট ফুড। লোকসমোগাম হয় এমন একটি জায়গায় আপনি ফাস্টফুডের দোকান দিয়ে এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এই ব্যবসার পুঁজি খুবই কম লাগে।৭. রেস্টুরেন্ট ব্যবসা
কম টাকায় লাভজনক ব্যবসার মধ্যে রেস্টুরেন্ট ব্যবসা আপনার পছন্দের তালিকার শীর্ষে থাকতে পারে। এটি একটি লাভজনক এবং ফলপ্রসু ব্যবসা। আমেরিকার একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ২৪ থেকে ৩০ বছরের বয়সে উদ্যোক্তাদের মধ্যে তাদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে এই রেস্টুরেন্ট ব্যবসা। তবে এই ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই দক্ষ হতে হবে তা না হলে লসের সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।৮. খাবার হোটেল ব্যবসা
খাবারের ব্যবসা হিসেবে খাবারের হোটেল একটি লাভজনক ব্যবসা। সকালের নাস্তা, দুপুরের ভাত, বিকালের নাস্তা ও রাতের খাবারকে কেন্দ্র করে আপনি খাবারের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এ ব্যবসার বড় সুবিধা হল কাস্টমার নিজে থেকেই তার প্রয়োজনে আপনার হোটেলে আসবে। তবে পরিকল্পিত প্রচার-প্রচারণা আপনার ব্যবসা বেগবান করতে পারে। যুক্তিসংগত দামে মান সম্মত খাবার পরিবেশন ও গ্রাহকের সাথে সুন্দর ব্যবহার এই ব্যবসার প্রধান শক্তি।৯. বিরিয়ানির ব্যবসা
বিরিয়ানি ব্যবসার জন্য ব্যস্ত এলাকায়, জনবহুল রাস্তার মোড়, অফিস এলাকা উত্তম জায়গা হতে পারে। বাসা থেকে বা দোকানে রান্না করে খুব সহজে ও সীমিত খরচে আপনি এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন। ব্যবসার গতিকে বাড়ানোর জন্য আপনি হোম সার্ভিস ব্যবস্থা যুক্ত করতে পারেন সেই সাথে অনলাইনে অর্ডার গ্রহণের ব্যবস্থাও রাখতে পারেন। মুরগির বিরিয়ানি, গরুর মাংসের বিরিয়ানি, কাচ্চি বিরিয়ানি ইত্যাদি বেশ জমজমাট। খাবারের স্বাদ, যুক্তিসঙ্গত দাম এবং গুণাগুণ ঠিক রাখলে গ্রাহকের মাধ্যমে আপনার ফ্রি বিজ্ঞাপন হয়ে যেতে পারে।১০. আইসক্রিম পার্লার
আইসক্রিম পছন্দ করে না এরকম মানুষের সংখ্যা নেহাতই কম। বিশেষ করে ছোট বাচ্চাদের আইসক্রিম পছন্দ। গড়ে ৪৫০ থেকে ৫০০ বর্গফুটের দোকান ঘর হলেই আপনি আইসক্রিম পার্লারের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। কম টাকায় লাভজনক ব্যবসা গুলোর মধ্যে আইসক্রিম ব্যবসা বেশ লাভজনক। তবে এই ব্যবসা শুরুর পূর্বে আপনাকে অবশ্যই পরিকল্পনা এবং মার্কেট রিসার্চ করতে হবে।১১. কফি শপ ব্যবসা
বিশেষ করে বিকেল বেলায় চা এবং কফির আড্ডা পছন্দ করেনা এরকম মানুষ নেই বললেই চলে। এছাড়া কফির স্বাস্থ্যগুণ এবং জনপ্রিয়তা এই ব্যবসাকে এমনিতেই বেগবান করবে। অল্প পুজিতেই এই ব্যবসা শুরু করা যায় এবং এটি একটি লাভজনক ব্যবসা বটে। কফি শপ ব্যবসার জন্য স্থান নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।খামার ভিত্তিক ব্যবসার ধারণা
১. মৌমাছী পালন
মধু এমন একটি খাবার যা কখনো পচে না এবং এর ঔষধি গুনও রয়েছে যা শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। আমাদের দেশে বিভিন্ন ধরনের মৌমাছি পাওয়া যায় তাদের মধ্যে পাহাড়ি মৌমাছি, ভারতীয় মৌমাছি এবং ক্ষুদে মৌমাছি অন্যতম। ক্ষুদে মৌমাছির একটি চাক থেকে প্রায় ২০০ গ্রাম মধু সংগ্রহ করা যেতে পারে। ভারতীয় মৌমাছি থেকে প্রায় চার কেজি মধু পাওয়া যায়।। এবং বড় মৌমাছি বা পাহাড়ি মৌমাছির ক্ষেত্রে এটি ১০ কেজি পর্যন্ত হতে পারে। কিন্তু পাহাড়ি মৌমাছিগুলো কে বাক্সে লালন পালন করা সম্ভব হয় না। কিন্তু অন্যান্য মৌমাছি চাষের মাধ্যমে মৌমাছি পালন ব্যবসা আপনার জন্য লাভজনক হতে পারে। মধুর স্বাস্থ্য উপকারিতা ও চাহিদা বিবেচনায় নিয়ে মৌমাছী পালন হতে পারে একটি লাভজনক ব্যবসা।২. মাশরুম চাষ
মাশরুমের তরকারি বা মাশরুমের চপ এটি পুষ্টিকর খাবার। তাই মাশরুমের চাষ একটি লাভজনক ব্যবসা হতে পারে। মাশরুম খুব অল্প সময়ে খাওয়ার উপযোগী হয়ে যায়। অন্যান্য সবজির তুলনায় মাশরুমের দাম এবং চাহিদা বেশি। এবং এর পুষ্টিগুনো অনেক। তাছাড়া অন্যান্য সবজির তুলনায় মাশরুমে পোকা মাকড়ের করে আক্রমণ কম হয়।৩. কবুতর খামার
কবুতর একটি শান্ত এবং সুন্দর প্রাণী। কবুতরকে শান্তির প্রতীক বলা হয়। খামারে কবুতর পালন আপনার জন্য কম টাকায় লাভজনক ব্যবসা হতে পারে। এছাড়া অনেকে শখের বসে কবুতর পালন করে থাকে। তবে আপনার এইসব কেই আপনি ব্যবসায় রূপান্তর করতে পারেন খুব সহজে।৪. হাঁসের খামার ব্যবসা
হাঁসের খামার মুরগির খামারের চেয়ে তুলনামূলক লাভজনক। কারণ মুরগির চেয়ে হাসির দাম বেশি এর ডিমের দাম বেশি। সামান্য পুজোতেই আপনি এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এই ব্যবসা শুরু করতে তেমন কোন জনবলের প্রয়োজন হয় না। তবে এই ব্যবসার শুরুর জন্য আপনাকে উপযুক্ত জায়গা নির্বাচন করতে হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে আপনি স্বল্প পরিসরে এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এই ব্যবসাতে লাভের পরিমাণ বাড়াতে হলে অবশ্যই আপনাকে উন্নত জাতের হাঁস নির্বাচন করতে হবে। এছাড়া হাসের অসুখ বিসুখ, রোগ বালাই দমনের ক্ষেত্রে চিকিৎসা সম্পর্কে জ্ঞান থাকতে হবে।৫. কোয়েল পালন
কোয়েল পালন এমন একটি ব্যবসা যা বাসা বাড়িতে ছোট্ট একটি জায়গাতে করা সম্ভব। এই কোয়েল পাখি অল্প সময়ের মধ্যে ডিম দেয়া শুরু করে এবং বছরে প্রায় ২৫০-২৬০ টি ডিম দিতে পারে। ব্যবসা থেকে অল্প সময়ে রফিক পাওয়ার ক্ষেত্রে কোয়েল পালন আপনার পছন্দের ব্যবসা হতে পারে।৬. ছাগলের খামার ব্যবসা
ছাগল পালন বা ছাগলের খামার বিশেষ করে গ্রামাঞ্চল গুলোতে বেশি হয়ে থাকে। ছাগল পালন একটি অত্যন্ত লাভজনক ব্যবসা। কারণ অন্যান্য মানুষের তুলনায় ছাগলের মাংসের দাম অনেক বেশি। সারা বছরই মানুষের প্রয়োজন হয়। বিশেষ করে আপনি ঈদকে টার্গেট করে আপনার ব্যবসা শুরু করতে পারেন।৭. খরগোশ পালন
আমাদের দেশে ব্যবসা হিসেবে খরগোশ পালন খুব কম লক্ষ্য করা যায়। অনেকেই খরগোশকে শখের প্রাণী হিসেবে পালন করে থাকেন। কিন্তু আপনি খুব সহজেই আপনার এই শখের লালন পালনকে ব্যবসায় রূপ দিতে পারে। ঘরের কোন এক কোনে, ছাদের উপর, বা পতিত জমিতে খরগোশ পালন শুরু করা যায়। খরগোশ পালন ব্যবসায় পুজিও কম লাগে।৮. ফুল চাষ ব্যবসা
ফুল পছন্দ করে না বা ফুলকে ভালোবাসে না এরকম মানুষ দুনিয়াতেই নেই। যে ফুল ভালোবাসে না বা পছন্দ করেনা সে মানুষের কাতারেই পরেনা। তবে বর্তমানে ফুল চাষ একটি লাভজনক এবং সৌন্দর্যপূর্ণ ব্যবসা। বাড়ির পাশে পড়ে থাকা জমিতে খুব অল্প খরচে এই ফুলের চাষ শুরু করতে পারেন। বর্তমানে ফুলের ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। বিশেষ করে বিয়ের অনুষ্ঠান, সুন্নতে খাতনা, নতুন কোন বিল্ডিং এর উদ্বোধন, যেকোনো অনুষ্ঠানে ফুলের ব্যবহার রয়েছে। এছাড়া বছরের বিভিন্ন দিবসগুলোতে ফুল ছাড়া পালন করা অসম্ভব। যদিও ফুলের চাষ শীতকালে হয়ে থাকে কিন্তু এর চাহিদা সারা বছরই বিদ্যমান।কাউকে শুভেচ্ছা জানানো থেকে শুরু করে ঘর সাজাতে ফুলের ব্যবহার রয়েছে।৯. সবজি চাষ
সবজি চাষের মাধ্যমে আপনি আপনার পরিবারের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করার পাশাপাশি আপনার আর্থিক চাহিদাও মেটাতে পারেন। সবজি চাষ ব্যবসায় একটি লাভজনক এবং অল্প খরচে শুরু করা যায়। আপনি বাণিজ্যিকভাবে সবজি চাষ করে নিজেকে স্বাবলম্বী হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন। সবজি চাষে বেশি লাভ করতে হলে আপনাকে আগাম সবজি চাষ করতে হবে। আপনি যেকোনো ধরনের সবজি চাষ করতে পারেন। কারণ প্রতিটি সবজির চাহিদায় সারা বছর রয়েছে। তবে যে সকল সবজির উৎপাদন কম থাকে আপনি সেই সকল সবজিকে টার্গেট করতে পারেন।১০. মাছ চাষ
মাছের খামার একটি লাভজনক ব্যবসা। আমরা মাছে ভাতে বাঙালি। মাছ ছাড়া আমাদের চলে না। শরীরের পুষ্টি উপাদান পূরণ করার জন্য মাছ খাওয়া আবশ্যক। আপনি অল্প পুঁজিতে এই মাছের খামার শুরু করতে পারেন। মাছের পুকুরে হাঁস পালনের মাধ্যমে আপনি একই খরচে দুইটা ব্যবসা চালু করতে পারেন। হাসির পৃষ্ঠাগুলো মাছের খাবার হিসেবে ব্যবহৃত হবে। এক্ষেত্রে আপনার খরচ কিছুটা কমবে। এজন্য আপনাকে উপযুক্ত জায়গা নির্বাচন করতে হবে।১১. মাছের ঘের
মাছের ঘের একটি লাভজনক ব্যবসা। মাছের ঘেরে বাণিজ্যিকভাবে মাছ চাষের জন্য অগভীর জলাশয় প্রয়োজন। বর্তমানে আমাদের দেশে মাছের ঘের ব্যবসা বেশ জনপ্রিয় এবং লাভজনক। প্রতি জমিতে বা ধানি জমিতে অগভীরভাবে পুকুর খননের মাধ্যমে আপনি মাছের ঘের বানাতে পারেন। এবং এই পুকুরে বিভিন্ন ধরনের মাছ চাষ করতে পারেন। সেই সাথে পুকুরের চারপাশে বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করতে পারেন। মাছের ব্যবসার জন্য অবশ্যই উন্মুক্ত জায়গা প্রয়োজন। যেখানে পর্যাপ্ত আলো এবং বাতাস রয়েছে। পরিশ্রম ও মেধা এই ব্যবসার অন্যতম মূলধন।১২. মাছের খাদ্য তৈরির ব্যবসা
বর্তমানে আমাদের দেশের খামারী সংখ্যা বাড়ছে। সেক্ষেত্রে মাছের খাদ্যের চাহিদাও বাড়ছে। মাছের খাদ্য তৈরির ব্যবসা শুরু করে আপনি নিজেকে স্বাবলম্বী হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনার গ্রাহক হবে বাণিজ্যিকভাবে মাছ চাষ করে এমন চাষীরা। এক্ষেত্রে আপনার ব্যক্তিগত মাছের ঘের থাকলে খুব সহজেই আপনি মাছের খাবার তৈরি করতে পারেন।১৩. গরু মোটাতাজাকরণ ব্যবসা
মাংস উৎপাদনের জন্য গরুর খামার অন্যতম আয়ের উৎস হতে পারে। এই গরুর খামার মাংসের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি আপনাকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বন করতে সাহায্য করবে। এ ব্যবসাটি আপনি ফুলটাইম বা পার্টটাইম হিসেবেও নিতে পারেন। অল্প সময়ের জন্য গরু কিনে সেই গরুকে ভালোভাবে যত্ন নিয়ে মোটাতাজা করে কি করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। সাধারণত ৯০ দিন পর গরু বিক্রি করে দেয়া উত্তম।১৪. ডেইরী খামার
দুধ হল সর্ব উৎকৃষ্ট খাবার। বিশেষজ্ঞরা বলেন দুধে সব ধরনের পুষ্টিগুণ রয়েছে। তাই ডেইরি ফার্ম আপনার জন্য একটি লাভজনক ব্যবসা হতে পারে। দুধ যে শুধু তরল খাবার হিসেবেই ব্যবহৃত তা নয়, বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি তৈরিতেও এবং আইসক্রিম তৈরিতে এই দুধ ব্যবহৃত হয়। বর্তমানে দুধের চাহিদাও ব্যাপক। তাই কম টাকায় লাভজনক ব্যবসা গুলোর মধ্যে আপনি ডেইরি ফার্ম কে পছন্দ করতে পারেন।১৫. লেয়ার মুরগি পালন
ডিম উৎপাদনের জন্য লেয়ার মুরগির খামার একটি লাভজনক ব্যবসা। এই ব্যবসাটি অল্প টাকা বিনিয়োগ করেই শুরু করা যায়। তবে এই ব্যবসা শুরু করার আগে আপনাকে পোল্ট্রি ফার্ম পরিকল্পনা, পোল্টির রোগ বালাই এবং চিকিৎসা সম্পর্কে জানতে হবে।১৬. ব্রয়লার মুরগি ব্যবসা
মাংস উৎপাদনের জন্য ব্রয়লার মুরগির খামার একটি লাভজনক ব্যবসা। এই ব্যবসা করলে আপনি পরিবারের মাংসের চাহিদা পূরণ এবং অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারবেন। যদিও এই বয়লার মুরগির দাম বছরে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। এই ব্যবসা শুরুর পূর্বে আপনাকে মার্কেট সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। এই ব্যবসার যেমন লাভ বেশি তেমনি ঝুঁকিও কম নয়। তাই এই ব্যবসার ক্ষেত্রে আপনাকে ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে।পুরাতন পন্য ক্রয় বিক্রয় ব্যবসা
১. পুরাতন ফার্নিচার কেনা বেচা
পুরাতন ফার্নিচার কেনাবেচা বর্তমানে জনপ্রিয় ব্যবসা হিসেবে গড়ে উঠেছে। বাসা বাড়িতে পুরাতন জিনিসকে রিপ্লেস করে নতুন জিনিস ক্রয় করা হয়। সেক্ষেত্রে পুরাতন জিনিসকে বিক্রি করে দেওয়া হয়। বিশেষ করে যারা চাকরিজীবী তারা ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে এক জেলা থেকে অন্য জেলায় যাওয়ার সময় অনেকেই সে সকল জিনিস বিক্রি করে দিয়ে যান। পুরাতন ফার্নিচার কেনাবেচা এই ব্যবসাটি আপনার জন্য লাভজনক হতে পারে। পুরাতন ফার্নিচার গুলো ক্রয় করার পরে আপনি সেগুলোকে মেরামত এবং রং করে পুনরায় বেশি দামে বিক্রি করতে পারেন।২. পুরাতন বইয়ের দোকান
বই হল জ্ঞানের আধার এবং অমূল্য সম্পদ। বই পড়া শেষ হয়ে গেলে সেই বইয়ের গুরুত্ব আমাদের কাছে কমে যায় এবং আমরা সেই বইগুলো এখানে সেখানে ফেলে রাখে। আপনি চাইলে এই পুরাতন বইগুলো ক্রয় করে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। শুরুর দিকে এই ব্যবসার গতি কম থাকলেও এই ব্যবসাতে লাভ কম নয়।৩. পুরাতন ইলেক্ট্রনিক পণ্য কেনা বেচা
বর্তমানে ডিজিটাল মানুষদের ইলেকট্রিক পণ্যের চাহিদার সীমা নেই। একটি শেষ হতে না হতে আরেকটির প্রয়োজন পড়ে। পুরান ইলেকট্রিক পণ্য ক্রয় করার মাধ্যমে সেগুলো আবার বিক্রি করে আপনি অর্থ উপার্জন করতে পারেন। ক্ষেত্রে ভেঙে যাওয়া বা নষ্ট হয়ে যাওয়া পণ্যগুলোকে মেরামত করতে হবে। কাস্টমার কালেকশন এর জন্য আপনি একটি দোকান ভাড়া নিতে পারেন এবং অনলাইন প্লাটফর্মকে মিডিয়া হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।অনান্য লাভজনক ব্যবসার ধারণা
১. ফটোগ্রাফি ব্যবসা
আপনি যদি ফটোগ্রাফিতে দক্ষ হন এবং ছবি তুলতে পছন্দ করে থাকেন তাহলে কম টাকায় কি ব্যবসা করা যায় সে ব্যবসা গুলোর মধ্যে ফটোগ্রাফি ব্যবসা বেশ লাভজনক। আপনি ফটোগ্রাফিক এজেন্সি দাঁড় করিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এই ব্যবসাতে যেমন স্বাধীনতা রয়েছে তেমন লাভজনক। এক্ষেত্রে আপনি বিয়ের অনুষ্ঠান, প্রাকৃতিক বিভিন্ন ছবি, কোন ঘটনার ছবিকে ব্যবসা েহিসেবে নিতে পারে। আপনার তোলা সৃজনশীল ছবিই আপনাকে চিত্রিত করবে। গ্রাহক বাড়াতে ও ব্যবসা প্রসারে মার্কেটিং করতে হবে।২. ক্রোকারিজ ব্যবসা
প্রকারের ব্যবসা করে আপনি অল্প সময়ে স্বাবলম্বী হতে পারেন। প্রকাশ পণ্যগুলো নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মধ্যেই পড়ে। বিশেষ করে রান্না বান্না বা খাবারের কাজে এই পণ্যগুলো বেশি ব্যবহৃত হয়। যেমন-চায়ের কাপ, পানির গ্লাস, পানির জগ, ভাত খাওয়ার প্লেট, চামচ, তরকারি রাখার পাত্র, আরও অনেক কিছু পণ্যের মধ্যে পড়ে। এটি এমন একটি ব্যবসা যা সারা বছরই চলে। এ ব্যবসার সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এই পণ্যগুলো পচনশীল নয় এবং মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে না যদিও ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সাবধানতা অবলম্বন করলে সেই ক্ষতিকে প্রতিহত করা সম্ভব। এই ব্যবসার ঝুঁকিও কম। এই ব্যবসা শুরু করার পূর্বে আপনাকে অবশ্যই সঠিক জায়গা নির্বাচন, ভালো মানের পণ্য এবং গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করতে হবে।৩. প্রসাধনী বা কসমেটিক দোকান ব্যবসা
প্রসাধানি বা কসমেটিক ছাড়া মেয়েদের একটা দিনও চলে না। মেয়েদের কাছে এই প্রসাধনী বা কসমেটিক মৌলিক চাহিদার মত। তাই, প্রসাধনী বা কসমেটিকের দোকান ব্যবস্থা আপনার জন্য লাভজনক হতে পারে। এই ব্যবসাতে শতকরা ২০ থেকে ৪০ ভাগ পর্যন্ত লাভ করা সম্ভব। এই ব্যবসার শুরুর জন্য আপনাকে উপযুক্ত জায়গা নির্বাচন, গুণগত গ্রাহক সেবা এবং মানসম্মত পণ্য নিশ্চিত করতে হবে। ব্যবসাকে দীর্ঘমেয়াদী এবং স্থায়ী করতে হলে অবশ্যই অতিরিক্ত লাভ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। এতে করে আপনার গ্রাহক সংখ্যা বাড়বে এবং ব্যবসায় সুফল আসবে।৪. খেলনার দোকান
ছোট সোনামনিদের মুখে হাসি ফোটানোর সাথে সাথে জীবিকা নির্বাহের জন্য খেলনার দোকান আপনার জন্য লাভজনক ব্যবসা ক্ষেত্র হতে পারে। সাধারণভাবে খেলনার দোকান দেয়া সহজ মনে হলেও এটা বেশ চ্যালেঞ্জিং। এই ব্যবসার ক্ষেত্রে আপনাকে মার্কেট পর্যালোচনা করতে হবে। আপনার কম্পিউটার ব্যবসায়ীদের ব্যবসার দিকে নজর রাখতে হবে। আপনি চাইলে অল্প পুজিতে এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন।৫. রঙিন মাছ ও একুরিয়াম ব্যবসা
রঙিন মাছ ও একুরিয়াম ব্যবসা একটি লাভজনক এবং সৌখিন ব্যবস্থা। এই ব্যবসাতে তেমন কোনো শারীরিক পরিশ্রম প্রয়োজন হয় না। তবে আপনাকে অবশ্যই পরিচালনার ক্ষেত্রে দক্ষ হতে হবে। যদিও এই ব্যবসার শুরুটা একটি ভয়াবহ, আপনি অল্প পুঁজিতে চাইলে শুরু করতে পারেন।৬. ইন্টেরিয়র ডিজাইন ব্যবসা
নিজের দক্ষতা ও সৃজনশীলতাকে কাজে লাগিয়ে অর্থ উপার্জনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসা হল ইন্টেরিয়র ডিজাইন ব্যবসা। প্রতিটি মানুষই চায় তার বাসা বাড়ি বা অফিস সাজানো গোছানো হোক। এক্ষেত্রে অফিস কিংবা বাড়ির ইন্টেরিয়র ডিজাইনের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। এই ব্যবসার দ্রুতপ্রসারের জন্য আপনি সোশ্যাল মিডিয়াকে প্রচারের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।৭. ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ব্যবসা
বর্তমানে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট একটি লাভজনক এবং জনপ্রিয় ব্যবসা। যেকোনো অনুষ্ঠান যেমন- এনগেজমেন্ট, বিয়ে, জন্মদিন, বিভিন্ন অনুষ্ঠান, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উদ্বোধন ইত্যাদির ক্ষেত্রে ইভেন্ট প্লানার এর দ্বারা অনুষ্ঠানগুলোকে সাজানো হয়। অল্প মূলধন গিয়ে এবং খুব সহজেই আপনি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই সৃজনশীল হতে হবে। এই ব্যবসাতে লস নেই বললেই চলে। তবে কিছু জনবল প্রয়োজন এবং ম্যানেজমেন্ট সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। এই ব্যবসার প্রচারের ক্ষেত্রেও আপনি সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করতে পারেন।আজকের এই পোস্টটিতে আমরা আপনাদের জন্য ৫০টি কম টাকায় লাভজনক ব্যবসা কি এইরকম ব্যবসা সম্পর্কে আইডিয়া শেয়ার করলাম। এই ব্যবসা গুলোর মধ্যে কোন ব্যবস্থাটি আপনার পছন্দ সে নিয়ে নিজে নিজে গবেষণা করতে পারেন। কোন কিছু না জেনে বা বুঝে হঠাৎ করে কোন ব্যবসা শুরু করা উচিত নয়। কম টাকায় কি ব্যবসা করা যায় এক্ষেত্রে আপনার দুর্বলতা এবং ক্ষমতা এগুলো বিচার করে এবং ব্যবসার ঝুঁকির দিকে লক্ষ্য রেখে ব্যবসা শুরু করতে হবে। 25790
T Time Trend এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url